ইভিএম থেকে সরে আসা সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সদস্য ফরম উন্মোচন ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নুর বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তার মানে এই নয় যে- আজীবন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যখন ইভিএমের বিপক্ষে তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে তখন সরকার ইভিএম কেনা থেকে পিছিয়ে এসেছে। আমরা মনে করি সরকারের এটা ইতিবাচক পদক্ষেপ।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারি তাহলে বর্তমান সরকারও ইভিএমের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করবে। কিন্তু তার জন্য জনগণের আন্দোলন লাগবে। রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও এ সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। দেশকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছেন। জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে নুর বলেন, রংপুর একটি পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। এখানে তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক যে, বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক থাকলেও ১৪ বছরে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করতে পারেনি এ সরকার।