আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছুদিন আগে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। বিএনপি আমেরিকার দূতের সঙ্গে কথা বলতে অনেক চেষ্টা করেছিল, সফল হয়নি। বিএনপি ক্রমেই বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে। নষ্ট রাজনীতির হোতা হচ্ছে বিএনপি। এদের কাছে গণতন্ত্র, জনগণ কেউই নিরাপদ নয়।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এলাকায় আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য সাদেক খান, হাবিব হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, অধ্যক্ষ আব্দুল সাত্তার, জয়সেন বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছেন। তিনি মাতারবাড়িতে, পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর বানিয়েছেন। শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের লক্ষ্যে রূপপুর, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বানিয়েছেন। শেখ হাসিনাই একদিনে ১০০ সেতু, ১০০ রাস্তা উদ্বোধন করেছেন। সংকটের সময়েও অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জ্বালানি, খাদ্যশস্য কিনছেন। কিন্তু দিচ্ছেন কম দামে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক জিয়া হচ্ছে খাম্বা ব্যাপারী। তাদের কাজ ছিল লুটপাট করা। হাওয়া ভবনের আরেক নাম খাওয়া ভবন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ছেলেমেয়েরা চাকরি করে খায়। তারা ব্যবসা করেন না। সাধারণ জীবনযাপন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বিএনপির মুখে আবার খই ফুটেছে। তাদের আন্দোলনের নদীতে এখন আর জোয়ার নেই। এ বছর না আগামী বছর, কোন বছর আন্দোলন হবে জানা নেই। তাদের সবকিছুই ভুয়া। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র নিশ্চিত করেন, অন্য কিছু নয়।
বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ খুশি; শুধু মন খারাপ বিএনপির মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী চলা সংকটেও দেশের মানুষ শেখ হাসিনার ওপর খুশি। শেখ হাসিনার সততায় খুশি। শেখ হাসিনার উন্নয়নে খুশি। মন খারাপ শুধু বিএনপির। তাদের মন খারাপ। উন্নয়ন দেখলে তাদের ভালো লাগে না, অন্তর জ্বালায় ভোগে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ বছর আগের ও পরের মোহাম্মদপুর, দিন-রাতের পার্থক্য। মোহাম্মদপুর এখন আলোয় আলোকিত। এটা এখন ডিজিটাল নগরী। এই নগরী এখন উন্নয়নের ঝলকে আলোকোজ্জ্বল। মোহাম্মদপুর, আদাবরের যে দিকেই তাকাবেন উন্নয়ন, শুধু উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জনগণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে জলযুক্ত করবেন। মির্জা আব্বাস বলেছে- ‘আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না’। এই বিএনপিকে চিনে রাখতে হবে। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথেই রুখে দিতে হবে।’
মির্জা আজম বলেন, যখনই নির্বাচন আসে বিএনপি তখনই মিথ্যা অপপ্রচার নিয়ে সামনে আসে। বিএনপি যে সন্ত্রাসী সংগঠন, তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তিনি আরও বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষায় আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিল, আছে এবং থাকবে।