জাহাঙ্গীর আলম শামস (কক্সবাজার) প্রতিনিধি।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের সাবেক দুই এমপি দম্পতি আব্দুর রহমান বদি ও শাহীন আক্তারসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলাটি রুজু করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, গুলিবর্ষণ বিভিন্ন স্থানপনা ক্ষতি সাধন, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার রাতে এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে সদর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোঃ রফিক বাদী হয়ে মডেল থানায় এ মামলার এজাহার দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে সাবেক দুই সাংসদ আব্দুর রহমান বদি ও তাঁর স্ত্রী শাহিন আক্তার এর নেতৃত্বে ও প্ররোচনায় অন্যান্য আসামীরা ওই দিনের আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য মুক্তিকামী ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রে এলোপাথারী গুলি বর্ষণ করে টেকনাফ পৌরসভাস্থ ঝর্ণা চত্বর ও খাইয়ুকখালী ব্রীজ এলাকায় অরাজকতা ও ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় তারা বিএনপির বিভিন্ন মার্কেট ও স্থাপনায় ভাংচুরও চালায়।
এই মামলার উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম, সাবরাং, হ্নীলা, বাহারছড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুর হোসেন, রাশেদ মাহমুদ আলী ও আমজাদ হোসেন খোকন, পৌর যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুজিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোস্তফা প্রমুখ।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘এক যুবদল নেতা বাদী হয়ে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি ও তাঁর স্ত্রী শাহিনা আক্তারসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। আসামিদের ধরতে আমাদেও বিশেষ অভিযান চলবে।’
এদিকে সরকার পতনের পর গত ২০ আগস্ট চট্রগ্রাম থেকে র্যাবের হাতে আটক হন সমালোচিত সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি। এরপর থেকে তাঁর স্ত্রী সাবেক এমপি শাহীন আক্তার আত্মগোপনে চলে যায়।