গাজার বর্তমান অবস্থা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের মতো বলে মন্তব্য করেছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী জাপানি সংগঠন নিহোন হিদানকায়োর সহসভাপতি তশিয়ুকি মিমাকি। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তির খবর শোনার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
তশিয়ুকি মিমাকি বলেন, ‘গাজার দিকে তাকান। রক্তাক্ত শিশুর দেহ ধরে আছেন বাবা-মায়েরা। এটা তো ৮০ বছর আগের জাপানের মতোই। হিরোশিমা-নাগাসাকির শিশুরা তাদের বাবাকে হারিয়েছে যুদ্ধে, মাকে হারিয়েছে বোমা হামলায়।’
পারমাণবিক বোমা থেকে রক্ষা পাওয়া মিমাকি সম্ভাব্য পারমাণবিক বোমার ব্যবহার নিয়েও সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘পারমাণবিক বোমার জন্য পৃথিবী শান্তিতে থাকে, এই কথাও কখনো কখনো শুনতে হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসীরাও পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যবহার করতে পারে, ইসরায়েল গাজায় ব্যবহার করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড গত এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, তখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৭০ হাজার টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল। আর মার্কিন জ্বালানি দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মোট ৩৬ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কাজেই গাজায় হিরোশিমা ও নাগাসাকির মতো কম কিছু হচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার উদ্যোগ ও প্রচারণার স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছে নিহোন হিদানকায়ো। হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গেছেন, তাদের নিয়ে পরমাণু অস্ত্রবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলেছে সংগঠনটি।