৩, মে, ২০২৪, শুক্রবার
     

ঠান্ডায় জমে মৃত্যু হতে পারে কিয়েভের দিকে এগুনো রুশ সেনাদের!

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রুশ সেনাবাহিনীর ৬৪ কিলোমিটার লম্বা কনভয়। খাদ্যসঙ্কট, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা এবং বেশ কয়েকটি কারণে সেই কনভয়ের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে বলে কয়েক দিন আগে বেশ কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। তবে ওই কনভয়ের উপর আরো বড়সড় সঙ্কট ঘুরপাক খাচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনাদের গোলাবর্ষণ বা গুলি নয়, এই মুহূর্তে ওই কনভয়ে থাকা সেনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠছে হাড়জমানো ঠান্ডা।

পূর্ব ইউরোপে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। ইতিমধ্যেই কিয়েভ, খারকিভ-সহ আশপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি নিচে। আর কয়েক দিনের মধ্যে সেই তাপমাত্রা মাইনাস ২০-তে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। গত কয়েক দিন ধরে প্রবল তুষারপাত চলছে। এই অবস্থায় রাশিয়ার ওই দীর্ঘ কনভয়ে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা ট্যাঙ্কের ভিতরেই জমে মরে যেতে পারেন বলে নিউজউইক-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশন-এর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্লেন গ্রান্টের দাবি, যে হারে তাপমাত্রা নামছে তাতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কগুলি এক একটি ফ্রিজারে পরিণত হবে। আর তার ভিতরে সেনারা থাকলে জমে মারা যেতে পারেন যদি না ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন সর্বক্ষণ চালিয়ে রাখেন। কিন্তু এখানে আরো একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, যদি সর্বক্ষণ ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন চালিয়ে রাখা হয় তা হলে সেই বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আসবে কোথা থেকে? গ্রান্ট জানান, এমনিতেই খাদ্য এবং জ্বালানি সঙ্কট শুরু হয়ে গিয়েছে ওই কনভয়ে। তার উপর যদি তাপমাত্রা আরো নিচে নামতে শুরু করে তা হলে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে ওঠা রুশ সেনাদের পক্ষে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মত তার।

ব্রিটিশ সেনার সাবেক মেজর কেভিন প্রাইসের কথাতেও একই সুর শোনা গিয়েছে। ‘দ্য ডেইলি মেল’-কে কেভিন জানিয়েছেন, তাপমাত্রা নামলেই রুশ ট্যাঙ্কগুলো হয়ে উঠবে এক একটি ৪০ টনের ফ্রিজার। আর এই পরিস্থিতিই রুশ সেনাদের মনোবল আরো তলানিতে নিয়ে যাবে বলে মত তার।

ইউক্রেনে এবার জৈব, রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে রাশিয়া, সতর্কবার্তা আমেরিকার
গত ৬ মার্চ রাশিয়ার পররাষ্ট্র দফতর টুইট করে, রুশ সেনারা কিয়েভে জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির বেশ কয়েকটি প্রমাণ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অস্ত্র তৈরিতে আমেরিকা যে ইউক্রেনকে অর্থ সাহায্য করছে তারও প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয় ওই টুইটে।

ইউক্রেনের উপর এবার জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। বুধবার এমনই দাবি করল আমেরিকা। একইসঙ্গে আমেরিকা ইউক্রেনের সঙ্গে যৌথ ভাবে জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে মস্কো, তা-ও খারিজ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট-এর মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ক্রেমলিন অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইউক্রনের উপর তারা জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে। তাদের আগ্রাসনী নীতি থেকে নজর বিশ্বের নজর ঘুরিয়ে দিতে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে আমেরিকার বিরুদ্ধে।”

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেস্কির অভিযোগ, মস্কোর এই দাবি পূর্বপরিকল্পিত। তার কথায়, ‘এই একই ধরনের দাবি শোনা গিয়েছিল চীনের মুখেও। আমরা আগেও এ রকম দেখেছি।’ এখন রাশিয়ার মুখেও সেই একই দাবি শোনা যাচ্ছে। এর থেকে এটি স্পষ্ট যে, এই ধরনের মিথ্যা প্রচার চালিয়ে পাল্টা ইউক্রেনেই জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের ছক কষছে রাশিয়া। পাল্টা দাবি পেস্কির।

গত ৬ মার্চ রাশিয়ার পররাষ্ট্র দফতর টুইট করে, রুশ সেনারা কিভে জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির বেশ কয়েকটি প্রমাণ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অস্ত্র তৈরিতে আমেরিকা যে ইউক্রেনকে অর্থ সাহায্য করছে তারও প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হয় ওই টুইটে। এ প্রসঙ্গে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘রাশিয়া টুইট করে যা দাবি করেছে সেই তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ওরা বরাবরই পশ্চিমী দেশগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। কিন্তু নিজেরাই অপরাধ করে।’

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

               

সর্বশেষ নিউজ