এশিয়া কাপের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে তকমা পেয়েছিল পাকিস্তান-ভারতের আজকের ম্যাচটি। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ২০ ওভার শেষ হওয়ার ১ বল আগে সব উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করেছে ১৪৭ রান। যার ফলে ভারতের সামনে এখন মাঝারি টার্গেট। জিততে হলে তাদের করতে হবে ১৪৮ রান।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
পাকিস্তান দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইলো থেকে। তবে পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রাখার মূল কারিগর দু’ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও পেস অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। পান্ডিয়া ও ভুবনেশ্বর মিলে তুলে নেন পাকিস্তানের ৭ উইকেট।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এ ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে শততম ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন বিরাট কোহলি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই দুটি রিভিউ দেখে দুবাইয়ের দর্শকরা। ভুবনেশ্বর কুমারের লেংথ বলে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভারতের সম্মিলিত ওই আবেদনে সাড়া দেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার রুচিরা পাল্লিয়াগুরুগে। কিন্তু রিভিউ নেন রিজওয়ান। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় ভুবনেশ্বরের ডেলিভারিটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যেত। দ্বিতীয় বলেই বেঁচে গেলেন রিজওয়ান।
একই ওভারের শেষ বলে রিজওয়ানের কট বিহাইন্ডের জন্য রিভিউ নেয় ভারত। তবে আল্ট্রা-এজে কোনো স্পাইক দেখা না যাওয়ায় মাঠ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। এতে দুটি থেকে একটি রিভিউ হারায় ভারত। তবে সাফল্যের জন্য বেশি দেরি করতে হয়নি ভারতকে। দলীয় ১৫ রানেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে অর্শদ্বীপ সিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। তার আগে ৯ বলে ২ চারে ১০ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ানের সাথে জুটি বাঁধেন ফখর জামান। এ দু’জন ২৭ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪২ রানে আবেশ খানের বলে উইকেটের পেছনে দিনেশ কার্তিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে ৬ বলে ২ চারে ১০ রান করেন ফখর।
তৃতীয় উইকেটে ইফতেখার আহমেদ এসে রিজওয়ানের সাথে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৮৭ রানে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে উইকেটের পেছনে কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে অবশ্য ২২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৮ রান করেন।
ইফতেখারের বিদায়ের ৯ রান পর দলের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক রিজওয়ান বিদায় নেন পান্ডিয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে। তার আগে রিজওয়ান ৪২ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৪৩ রান করেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। একটা সময় মনে হয়েছিল পাকিস্তানের স্কোর হয়ত ১২০ এর আগেই থামবে। কিন্তু শেষ দিকে পেসার শাহনেওয়াজ দাহানি ৬ বলে ২ ছয়ে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলায় পাকিস্তানের সংগ্রহ গিয়ে ১৪৭ রানে থামে।
ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ৪টি, হার্দিক পান্ডিয়া ৩টি, অর্শদ্বীপ সিং ২টি ও আবেশ খান একটি উইকেট লাভ করেন।