ক্রাইমভিশন ডেস্ক:
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আলো ছড়ালেন স্পিনার আরিফ আহমেদ। জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুই ইনিংসে তার দারুণ বোলিংয়ে সিলেট বিভাগকে ৮৮ রানে হারিয়েছে ঢাকা
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড টুতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় ঢাকা মেট্রো। সিলেটের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৮৫.২ ওভারে ২৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ এবং ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রানের ইনিংস। সিলেটের আবু জায়েদ রাহী, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শাহনুর রহমান ও নাবিল সামাদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
মেট্রোকে ২৪৩ রানে অলআউট করে সিলেট ৮ রানের লিড নিতে পারে। জাকির হাসানের সেঞ্চুরি (১০৪) ও জাকের আলী অনিকের হাফ সেঞ্চুরিতে (৫৫) তারা ২৫১ রান সংগ্রহ করে। মেট্রোর আবু হায়দার রনি সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শহিদুল ইসলাম, কাজী অনিক ইসলাম, অভিষিক্ত আরিফ আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট।
৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি মেট্রো। সিলেটকে তারা ২০৫ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে মার্শাল আইয়্যুবের ব্যাট থেকে। আগের ইনিংসে ১ উইকেট নেওয়া সিলেটের রেজাউর রহমনা রাজা দ্বিতীয় ইনিংসে নেন চারটি উইকেট। এছাড়া শাহনুর রহমান তিনটি ও নাবিল সামাদ নেন দুটি উইকেট।
২০৫ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঘরের মাঠে সিলেটের ব্যাটাররা এবার অভিষিক্ত আরিফের ঘূর্ণি জাদুতে খেই হারান। ৪৮ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে
দলটিকে অল্পতে অলআউট করে ৮৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা মেট্রো। বাঁহাতি স্পিনার আরিফ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। ১৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে নিজের অভিষিক্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাচেই ফাইফারের কীর্তি গড়েছেন আরিফ। এর আগে ২০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৩১ উইকেট নিয়েছেন আরিফ।
আরিফ ছাড়াও বাকি বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন। আবু হায়দার রনি নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম ও কাজী অনিক ইসলাম। দুই ইনিংস মিলিয়ে আরিফ নিয়েছেন ৭ উইকেট। বল হাতে দুই ইনিংসে ৬ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৫১ রান করে ম্যাচসেরা হন রনি।