৬, মে, ২০২৪, সোমবার
     

‘তারা চুপ নয়, সোচ্চার রয়েছে’

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো অব্যাহত আছে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে না, বঙ্গবন্ধুকে এখনো জাতির পিতা বলে মানতে চায় না- তারা কিন্তু চুপ নয়; সোচ্চার রয়েছে। তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আইনি ভাবনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবিরের সভপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন ফরহাদ, যুগ্ম সচিব কাজী আরিফুজ্জামান, যুগ্ম সচিব মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপসচিব গাজী কালিমুল্লাহ প্রমুখ বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আইনি ভাবনা বিষয়ক বক্তব্য দেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা সশরীরে বা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুল হক বলেন, আমাদের এখন বড় কাজ হবে বঙ্গবন্ধু কে এবং কী, সেটা নতুন প্রজন্মকে শিখানো। এজন্য বঙ্গবন্ধুকে জানার বিষয়টি সহজ করে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার জন্য আলাদা বুক কর্নার তৈরি করে দিতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার যে অপসংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল- তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাতির পিতাকে এদেশের মাটিতেই হত্যা করা হয়েছিল- একথা মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনই অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থার বাইরে রাজনীতি করেননি। তার পুরো রাজনৈতিক জীবনে অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত নেননি। বাঙালিদের কোথায় যেতে হবে, কী করতে হবে তার সবকিছুই তিনি ৭ মার্চের ভাষণে বলে দিয়েছিলেন। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর আক্রমণের পরপরই তিনি ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির বলেন, স্বাধীনতার পর পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসার পরপরই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আপসহীন নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াকালীন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুকে জরিমানা করা হলেও তিনি এ জরিমানা দেননি। এ জরিমানা না দেওয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ছাত্রত্ব বাতিল করেছিল। তারপরও তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।

               

সর্বশেষ নিউজ